রমজানের আগেই ছোলা-ডাল-খেজুরের দাম বাড়ছে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দেড় মাস পড়েই মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। রোজাদারদের খাদ্যতালিকায় থাকে খেজুর ও ছোলা। যার বাৎসরিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক লাগে এই মাসেই। আমদানি নির্ভর পণ্য দুটির দামের উত্তাপ ছড়াচ্ছে রোজার আগেই।

এক মাসের ব্যবধানে ছোলার দর বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা। আর খেজুরের দাম বেড়েছে প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। রোজায় দাম আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এ পণ্যের আমদানিকারকরা দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করছেন শুল্কায়নের নতুন পদ্ধতি ও ডলারের দর বেড়ে যাওয়াকে। একইসঙ্গে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে ইমপোর্টের অনুমতি দেয়ায় এই দাম বৃদ্ধি বলে দাবি আমদানিকারকদের।

এদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যোগান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশসহ মনিটরিং বাড়ানো ও অভিযানে নেমেছে সরকার।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পণ্য দুটির চাহিদার পুরোটাই আমদানি করে মেটাতে হয়। সরবরাহ ভালো থাকলেও চড়া দামে আমদানি করায় বাড়তি মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে টাকার মান পড়ে যাওয়ায় এমনিতেই দাম বেশি পড়ছে, তার ওপর নতুন পদ্ধতিতে সরকার বেশি শুল্ক আদায় করছে, এর প্রভাবও পড়ছে দামে। আগামী মার্চে যে মাসে রোজা শুরু হতে যাচ্ছে, সে মাসের পণ্যমূল্য নিয়ে এখনই কথা হচ্ছে। খেজুরের ওপর আরোপ করা আমদানি শুল্ক না কমানো হলে রমজান মাসের জন্য খেজুর আনা ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোজায় দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ৎ বাদামতলি ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন যেসব খেজুর পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে মেডজুয়েল ৫ কেজির প্রতি কার্টুনের প্রকারভেদে আগে দাম ছিল ৫৮০০ থেকে ৬ হাজার টাকা, যা বর্তমানে দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬০০ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা, মাবরুম প্রকারভেদে ৪২০০ থেকে ৪৮০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা, মরিয়ম ছিল ৩৮০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২০০ টাকা। আজোয়া ছিল ৩৫০০ টাকা, এখন ৪২০০ টাকা, কালমি ২৫০০ ছিল এখন ৩২০০। খেজুরের রানি ছুক্কারি ছিল ১৫০০ টাকা এখন ২১০০ টাকা। মাসরুক ছিল ১৫০০ টাকা এখন ২৪০০ টাকা, দাবাস ছিল ১৫০০ টাকা এখন ২১০০ টাকা, খালাস ছিল ১৫০০ টাকা এখন ১৯০০ টাকা।

এছাড়া, আলজেরিয়ার ফিট খেজুর ছিল ১৩০০ টাকা এখন ১৮০০ টাকা। ছড়া খেজুর ছিল ১৮০০ টাকা এখন ২৪০০ টাকা, লুলু/বড়ই ছিল ১৫০০ টাকা এখন ২০০০ টাকা এবং বস্তাখেজুর ছিল ১৩০ টাকা এখন সেটা ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম বেড়েছে গত এক মাসেই।

এ বিষয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম. এম. এন্টারপ্রাইজের হাজী মো. মাঈন উদ্দিন মিয়া বলেন, খেজুরের দাম দুই ভাবে বাড়ছে। এলসি পাচ্ছি না, ডলার সংকট এবং ডিউটি বা শুল্ক বেড়েছে। আগে এক কন্টেইনার ২৫ টন খেজুরে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ডিউটি ছিল। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে মাঝারি মানের এক কন্টিনারে ডিউটি আসে ৬৪ লাখ টাকা। আর যেটা নিম্নমানের সেটার ডিউটি ৩৩ লাখ টাকা। আগে সব একই রকম ছিল।

তিনি বলেন, বর্তমানে খেজুরের যে দাম তাতে সাধারণ মানুষের কাছে দাম চাইলে বলে মজুদ করছে। আসলে শুল্ক বাড়ায় এটা হয়েছে। আগে শুল্ক দিয়েছি প্রতি কেজিতে ২৮ টাকা এখন প্রতি কেজিতে ১৩২ থেকে ২৭০ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে। এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে শুল্ক হার আগের জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষের পাতে খেজুর উঠবে। নইলে এই খেজুর শুধু ধনীদের খাবার হিসেবেই পরিচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, খেজুরের দাম বাড়ায় শত শত মানুষ বেকার হয়ে গেছে। স্বল্প পুঁজি দিয়ে এখন আর কেউ ব্যবসা করতে পারছে না। এক দেড় মাস পড়েই রমজান। সে সময় সাধারণ মানুষকে ন্যায্যমূল্যে খেজুর দিতে হলে এখনই শুল্ক কমিয়ে আগের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এখন পাইপলাইনে ২০০ থেকে ৫০০ কন্টেইনার মাল আছে। সেটা আসার আগে যদি শুল্ক কমানোর ঘোষণা আসে তাহলে বাজারে একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ী মেসার্স রওজা এন্টারপ্রাইজের সেলসম্যান কৌশিক সরকার বলেন, গত এক মাস ধরে খেজুরের দাম বাড়ছে। এখন বাজারে শুধু পুরাতন খেজুর পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোর দাম প্রতি কার্টুনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া নতুন খেজুর বাজারে আসা শুরু করেছে। দুই/একটি ঘরে উঠেছে। সেগুলোর দাম প্রতি কার্টুনে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, দাম বাড়ার মূল কারণ হলো শুল্ক বাড়া। আর দাম বাড়ায় আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ কার্টুন বিক্রি হতো সেখানে এখন ১০০ থেকে ১৫০ কার্টুন বিক্রি হচ্ছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক এক্সিম লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, শুল্কায়ন পদ্ধতি বদলে যাওয়ায় খেজুরের দাম বন্দরেই বেড়েছে ৫০ থেকে শতভাগ। এর সঙ্গে রয়েছে ডলারের বাড়তি দাম ও পরিবহন খরচ। আগে ছোট বক্সে করে আসা খেজুরের শুল্ক ছিল দামের ১৩ শতাংশ, কার্টুনে আসলে ১৫ শতাংশ ও খোলা আকারে আসলে ২২ শতাংশ। এখন খেজুরের নাম ও দাম অনুযায়ী শুল্কায়ন করা হচ্ছে। অনেক সময় আমদানি মূল্য যা দেখানো হয় তা না মেনে দাম বেশি ধরে মূল্যায়ন করছে কাস্টমস বিভাগ। আমাদের দেয়া দাম অনুযায়ী মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করা হচ্ছে না। বেশি দাম ধরে অ্যাসেসমেন্ট করায় এমনিতেই খরচ বেড়ে যায়। এর সঙ্গে ডলারের দর বৃদ্ধি তো আছেই।

খুচরা খেজুর ব্যবসায়ী মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কার্টুনে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মেডজুয়েল ১১০০ টাকা আগে ৯০০ ছিল, মরিয়ম ৮০০ ছিল এখন ৯৫০ টাকা, কালমি ছিল ৬০০ এখন ৭০০ টাকা, আজোয়া ছিল ৮৫০ এখন ১১ টাকা, জিয়াদি ১৮০ এখন ২৪০ টাকা, আলজেরিয়া ৩০০ ছিল এখন ৪০০ টাকা, বড়ই ছিল ২০০ থেকে এখন ২৮০ টাকা, বস্তা ছিল ১৫০ টাকা এখন ২০০ টাকা, দাবাস ৩০০ ছিল এখন ৪০০ টাকা। আমরা কি করবো পাইকারিতেই দাম বাড়ছে। আমরা তো নিম্নমানের খেজুর বিক্রি করি। ভালো মানের খেজুরের দাম আরও বেড়েছে। আমার সঙ্গে এখানে আরও দুই/তিন জন এই ব্যবসা করতো দাম বাড়ায় তারা এখন আর ব্যবসা করছে না।

এদিকে, রমজান মাস সামনে রেখে খেজুরের ওপর শুল্ক-কর কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সাধারণ মানুষ ক্রয় করে এমন খেজুরের ওপর শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে শুল্কহার কতটা কমানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর। একই ধরনের চিঠি দুই মাস আগেও পাঠানো হয়েছিল এনবিআরে। শুল্ক কমানো হলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য তিনটির দাম কমবে।

আমদানিকারকদের দেয়া তথ্যমতে, শুধুমাত্র রমজান মাসেই দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে ৬০ হাজার টনের বেশি খেজুর প্রয়োজন হয়। যেখানে অন্য সব মাস মিলে খেজুরের চাহিদা ২০ হাজার টনের মতো। আর চাহিদানুযায়ী উৎপাদন না হওয়ায় দেশে প্রতি বছর ১৩-১৪ লাখ টন ডাল ও ডালজাতীয় শস্য আমদানি করতে হয়।

পাইকারি বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা ৮৭ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৭৮ টাকা। বুটের ডাল ৯৫ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৮২ টাকা। কেঙ্গারু মসুরের ডাল ১৩০ টাকা যা এক মাস আগে ১২০ টাকা ছিল। দেশি মসুরের ডাল ১২৬ টাকা যা এক মাস আগে ১০৫ টাকা আর আমদানিকৃত ১০৪ টাকা ছিল। দেশি মুগ ডাল ১৫৬ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ১১০ টাকা, আমদানিকৃত মুগ ডাল ১৪৮ টাকা। মটর ডাল ১০৬ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৮২ টাকা। এঙ্কর ৭০ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৫৪ টাকা। ডাবলি ৬৮ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৫৬ টাকা।

খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, এক মাস আগে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা ছিল। কেঙ্গারু ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মসুরের ডাল বর্তমানে ১৪০ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ১৩০ টাকা। দেশি মসুরের ডাল ১৩৫ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ১২০ টাকা। আমদানিকৃত ১১০ টাকা যা আগে ছিল ৮০/৮৫ টাকা। দেশি মুগ ডাল ১৭০ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ১২০ টাকা, আমদানিকৃত ১৫০ টাকা। ডাবলি ৭৫ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৬০ টাকা। মটর ডাল ১২০ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ১০০ টাকা। আমদানি ১১০ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৯০ টাকা। এঙ্কর ৭৫ টাকা যা আগে ছিল ৬০ টাকা এবং বুটের ডাল ১০৫ টাকা যা এক মাস আগে ছিল ৯০ টাকা।

বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ডাল ও ছোলার দাম ডলারের বাড়তি দামের কারণেই বাড়ছে। সরকারকে ডলারের নির্ধারিত দর কার্যকরে উদ্যোগ নিতে হবে। এসব পণ্যের বড় আমদানিকারকদের পাশাপাশি ছোটদেরও এলসি (ঋণপত্র) নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবে। এছাড়া রমজান উপলক্ষে বিশেষ ভাবে শুল্কছাড় দেওয়া গেলে দাম কিছুটা কমবে।

ছোলা আমদানিকারক মো. সেলিম হোসেন বলেন, ব্যাংক আমাদের সময়মতো এলসি দিচ্ছে না। ফলে পণ্য দুটি আমদানি করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে ইমপোর্টের অনুমতি দেয়ায় এই দাম বৃদ্ধি। আমি মনে করি, সবাইকে আমদানির অনুমতি দিলে দাম কমবে।

খুচরা ব্যবসায়ী মেসার্স আদনান এন্ড আরাফাত ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফারুক বলেন, ডাল আর ছোলার দাম অনেক বেড়েছে। ভারত থেকে ডাল আমদানি হওয়ায় ডালের বাজার আজকের থেকে একটু কমেছে। তবে এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। আমদানি বন্ধ হলে দাম আবার বাড়বে।

এদিকে, রোজায় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিতে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এসব পণ্য ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা যাবে। এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

আর গত ২১ জানুয়ারি সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রমজানে প্রয়োজনীয় সব পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে। তবে কেউ কারসাজি করে দাম বাড়াতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ দেশে রমজান কেন্দ্রীক পণ্যের কোনো সংকট নেই। কিছু মহল সিচুয়েশন ডেসট্রয় করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। তবে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই, দরকার হলে সরকার কঠোর হবে। শাস্তি দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার রমজানের দরকারি পণ্যের এলসি ১৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের নভেম্বরে যে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৫ টাকা। এক বছর পর তা ১১০ টাকায় দাঁড়ায় অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকিং চ্যানেলেই ডলারের দর বেড়েছে ১৪ শতাংশ।

তবে খোলা বাজারে এই ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় ও ব্যাংকেই আমদানি পর্যায়ে নির্ধারিত দরের বদলে বিক্রি হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৫ টাকা। ফলে ব্যবসায়ীদের আমদানির সময়ই খরচ বেড়ে গেছে। যে দেশ থেকে ফলটি আমদানি করা হচ্ছে, সেখানে দাম না বাড়লেও দেশে আসতে আসতে এমনিতেই বাড়তি দাম পড়ে যাচ্ছে ২০ শতাংশের বেশি। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।